নুহাশ পল্লী ভ্রমণ করার ইচ্ছে জাগলেই মনে হয় চিরচেনা শহরের কোলাহল থেকে একটু দূরে, যেন মনের গভীরে লুকানো এক টুকরো শান্তি। হুমায়ূন আহমেদের ছোঁয়ায় সাজানো এই জায়গা যেন ঠিক গল্পের মতো। একবার এখানে পা রাখলে মনে হবে, সবকিছু থেমে গেছে, শুধু প্রকৃতি কথা বলছে। ভেতরের সরু পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে চোখে পড়ে রঙ্গিন ফুল, লতাগুল্ম, আর গাছের ফাঁকে ফাঁকে মিষ্টি রোদ। কোথাও আবার লাল ইটের দেয়ালে মিশে আছে গল্পের একেকটা চরিত্র। পুকুরপাড়ে বসে শীতল বাতাসে চোখ বন্ধ করলে, মনে হবে—এই তো, হুমায়ূন স্যার পাশেই বসে লিখছেন তার পরবর্তী উপন্যাস। এমন একটা জায়গা, যেখানে একদিন ঘুরলেই হয় না, মন চাইবে বারবার ফিরে আসতে।
নুহাশ পল্লী এলাকার ইতিহাস, সংস্কৃতি, এবং বৈশিষ্ট্য
নুহাশ পল্লী—হুমায়ূন আহমেদের একান্ত সৃষ্টি। ১৯৯৭ সালে গাজীপুরের পিরুজালী গ্রামে এই জায়গাটি গড়ে তোলেন তিনি। ঢাকার কোলাহল থেকে দূরে প্রকৃতির মাঝখানে নিজস্ব এক জগৎ বানানোর স্বপ্ন ছিল তাঁর। এখানে রয়েছে বিভিন্ন দেশিবিদেশি গাছ, ফুল, আর শিল্পকর্ম যা এই স্থানকে অনন্য করে তুলেছে। নুহাশ পল্লীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এর সরল সৌন্দর্য—পুকুরপাড়, বাঁশের সেতু, লাল ইটের রাস্তা, আর ছোট কুঁড়ে ঘরগুলোতে যেন হুমায়ূন স্যারের চরিত্ররা জীবন্ত হয়ে ওঠে। এখানে প্রকৃতি আর সাহিত্যের মেলবন্ধন, যেখানে এসে মনে হবে—এটি কেবল একটা জায়গা নয়, বরং আবেগে গড়া একটি গল্পের দেশ।
ভ্রমনের স্থান | নুহাশ পল্লী |
আয়তন | প্রায় ২০ একর |
যায়গার ধরন | সাংস্কৃতিক, প্রকৃতির সাথে সংযুক্ত |
অবস্থান | গাজীপুর, ঢাকা থেকে উত্তর-পূর্বে |
মালিকানা | হুমায়ুন আহমেদ পরিবার |
পরিচিত নাম | নুহাশ পল্লী |
ঢাকা থেকে দূরত্ব | প্রায় ৪০ কিলোমিটার |
ভ্রমনের সময়সূচি | প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত |
যাতায়াত ব্যবস্থা | প্রাইভেট কার, বাস, ট্রেন |
প্রবেশ ফি | জনপ্রতি ২০০-৫০০ টাকা (বিশেষ অনুষ্ঠানে ভিন্ন) |
প্রধান জেলা থেকে দূরত্ব | গাজীপুর শহর থেকে ৩০ মিনিটের পথ |
ড্রোন উড়ানো যাবে কি? | না নিরাপত্তার কারণে নিষিদ্ধ |
“নুহাশ পল্লী— এ যেন প্রকৃতি ও সংস্কৃতির সংমিশ্রন, যেখানে প্রতিটি মুহূর্ত নতুন জীবনের শুরু”
নুহাশ পল্লী ভ্রমণ করতে গিয়ে কি কি অবশ্যই দেখা উচিত
মা ও শিশুর ভাস্কর্য
এটা শুধু একটা ভাস্কর্য না, একটা অনুভূতির কথা বলে। মা আর সন্তানের সম্পর্কের গভীরতা আর মমতার প্রতীক এই ভাস্কর্য। হুমায়ূন আহমেদ এই জায়গাটা তৈরি করেছেন যেন এখানে আসা প্রতিটি মানুষ একটু থমকে ভাবতে পারে তাদের জীবনের সেই মাকে, যার কাছে আমরা সবাই ঋণী। ভাস্কর্যের প্রতিটা ছোঁয়ায় মা ও সন্তানের এক অনন্য বন্ধন ফুটে ওঠে। এখানে দাঁড়িয়ে প্রকৃতির মাঝে মায়ের ভালোবাসার মতো শান্তি আর কিছুতেই পাওয়া সম্ভব না। নুহাশ পল্লীর এই ভাস্কর্য শুধু দেখার জিনিস না, উপলব্ধির বিষয়।
নান্দনিক সুইমিংপুল
নুহাশ পল্লীর সুইমিংপুল শুধু সুইমিংপুল নয়, এটি প্রকৃতি আর শিল্পের এক অপূর্ব মিলন। এখানে এসে মনে হয় যেন জীবন একটু থমকে গেছে, শান্তি ছুঁয়ে যাচ্ছে হৃদয়। সুইমিংপুলটি এমনভাবে তৈরি যে, চারপাশের গাছপালা, খোলা আকাশ আর পাখির ডাক মিলে একটা আলাদা জগৎ তৈরি করে। এখানকার পানি কেবল শরীরকে ঠান্ডা করে না, মনে শান্তি এনে দেয়। যারা প্রকৃতির সৌন্দর্য আর একটু ভিন্ন অভিজ্ঞতা চান, তাদের জন্য এটি অবশ্যই দেখার মতো জায়গা। সুইমিংপুলটি শুধু নান্দনিক নয়, এটি হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টির মায়াবি জগতের এক বিশেষ অংশ। তাই, নুহাশ পল্লীতে গেলে এটি না দেখে ফিরে আসা উচিত নয়।
নুহাশ পল্লী আসলে শুধু একটা ট্র্যাভেল স্পট না, এটা একটা মায়ার নাম। এর সৌন্দর্যে আপনি বিমোহিত হবেন, হুমায়ুন আহমেদের লেখার মত করেই।
ট্রি হাউজ
নুহাশ পল্লীর ট্রি হাউজে একবার বসলে মনে হবে যেন আপনি জীবনের সব কষ্ট ভুলে গেছেন। গাছের ডালে তৈরি ছোট্ট এই ঘরটি আপনার চারপাশে এক ধরনের শান্তির আভা তৈরি করে। পাখির ডাক আর বাতাসের সুর আপনাকে এক অন্য জগতে নিয়ে যাবে। এখানে বসে প্রকৃতির সাথে একাত্ম হয়ে কিছু সময় কাটানোর পর, আপনি আর আগের মতো অনুভব করবেন না। যতটুকু সময় এখানে থাকবেন, প্রকৃতি আপনাকে ফিরিয়ে দেবে সেই সাদামাটা সুখের অনুভূতিতে, যেখানে কোনো প্রকার চাপ নেই। তাই, নুহাশ পল্লীতে গিয়ে এই জায়গা মিস করবেন না!
দাবার গুটির প্রতিকৃতি
এ দাবার গুটি যেন কোনো গভীর গল্পের অংশ। শুধু একটি শিল্পকর্ম নয়, এটি যেন জীবনের খেলা, যেখানে একে অপরের বিরুদ্ধে না গিয়ে, সবাই মিলে একসাথে চলার কথা বলা হয়েছে। প্রতিটি গুটি, তার অবস্থান আর দিক-নির্দেশনা, প্রতিকৃতি আমাদের প্রতিদিনের জীবনকেও কিছুটা শিখিয়ে যায়—যেখানে সব কিছু নিঃশব্দে চলছে।
সজীব বাগান
নুহাশ পল্লী ভ্রমণ করতে গেলে দেখতে পাবেন বিভিন্ন ধরনের ঔষধি, বনজ, ও ফলজ গাছের বাগান আছে, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরো গভীরতা দেয়। হুমায়ুন আহমেদের প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার সাক্ষ্য হিসেবে এই বাগান দেখা যায়। বাগান করা বহু মানুষের শখ- যা শুধু মনকে শান্ত করে না, এখানকার ফলমূল খাওয়া, বিক্রির কাজেও আসে। একটা পরিপূর্ণ বাগান একটা পুরো বাড়িকে শতভাগ খাদ্যের চাহিদা মেটাতে পারে তার মধ্যে যদি থাকে ঔষধি গাছ তাহলে তো কথাই নাই। এমনই এক উৎসাহপূর্ণ বাগান করে রেখে গিয়েছেন হুমায়ুন আহমেদ যা আপনার অবশ্যই দেখা উচিত
অডিটোরিয়াম
নুহাশ পল্লীর অডিটরিয়াম একটি মনোমুগ্ধকর স্থান, যা একদিকে যেমন সংস্কৃতির কেন্দ্র, তেমনি একটি শান্তির আশ্রয়ও। এই অডিটরিয়ামটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক এবং সঙ্গীতের জন্য আদর্শ জায়গা। এখানে বসে, দর্শকরা শুধু অনুষ্ঠান উপভোগ করেন না, বরং এক ধরনের আত্মিক শান্তি অনুভব করেন। এটি সত্যিই একটি স্থাপত্য ও শিল্পের নিখুঁত সমন্বয়, যা নুহাশ পল্লীর সাংস্কৃতিক জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
দিঘি লীলাবতী
লীলাবতী ছিলেন হুমায়ুন আহমেদের মেয়ে যে কখনোই পৃথিবীর আলো দেখেনি। তারই স্মৃতিস্বরূপ এই দিঘীর নাম করন করা হয়েছে। লীলাবতি দিঘী হলো শান্তির একটি স্থান, যেখানে প্রকৃতি ও মানুষের সম্পর্ক গভীর। দিঘীর পানি শান্ত, সেখানে সাঁতার কাটার আনন্দ আর অসাধারণ। চারপাশের পরিবেশে সাঁতার কাটার পাশাপাশি পাখির গান শুনলে মনে হবে, যেন সময় থেমে গেছে। এখানে বসে বিশাল আকাশের দিকে তাকালে, হৃদয়ে এক আলাদা শান্তি বয়ে যাবে। আপনার মনে হতে পারে, এই দিঘী কেবল পানি নয়, এটি স্বপ্নের একটি রাজ্য। সময় কাটানোর জন্য এটি এক দারুণ জায়গা, যেখানে প্রকৃতির সৌন্দর্য ও শান্তি মিলে যায়।
ভূত বিলাস
ভুত বিলাসে এসে ভুতের গল্পের মতো অনুভূতি নিতে পারবেন। লেখক হুমায়ূন আহমেদ এই স্থানে এক রহস্যময় পরিবেশ তৈরি করেছেন, যা দর্শকদেরকে আকৃষ্ট করে। এখানে প্রবেশ করলে চারপাশের গাছপালা, ভুতের রহস্য ও কল্পনার এক অদ্ভুত অনুভূতি আপনাকে ঘিরে ধরে। ভুত বিলাসের ভেতরে প্রবেশ করার সময় মনে হবে, আপনি যেন একটি গল্পের চরিত্রে পরিণত হয়েছেন। আপনার সামনে রহস্যময় ঘটনা হতে থাকবে। এই জায়গায় আসা মানে কল্পনার জগতে পা রাখা, যেখানে বাস্তব ও অবাস্তবের সংযোগ ঘটে।
ডাইনোসর ও রাক্ষসের মূর্তি
নুহাশ পল্লীতে ঢুকলেই কনক্রিটের তৈরি এক বিশাল ডাইনোসর ও মৎস্যকন্যার মূর্তি দেখা যায়। এগুলো শিশুদের জন্য বিশেষ আকর্ষণীয় হলেও, সব বয়সের মানুষের মনে আলাদা মুগ্ধতা এনে দেয়।
বৃষ্টি বিলাস
এটি মূলত একটি খোলা ছাদসহ বাংলো, যেখানে বসে বৃষ্টি দেখার মজাই আলাদা। হুমায়ূন আহমেদের বৃষ্টির প্রতি ভালোবাসা থেকেই এর নাম রাখা হয়েছে। জায়গাটি অনেক বড় এবং বসার জায়গাও রয়েছে অনেক, আপনি চাইলে এখানে আরাম করতে পারবেন। এই জায়গায় বসে এক কাপ চায়ে চুমুক দিতে দিতে প্রকৃতির মিষ্টি গন্ধ নিতে পারবেন।
পদ্ম পুকুর
নুহাশ পল্লী ভ্রমণ করতে গেলে যায়গাটির কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত এই সুন্দর পুকুরটি। এটা ছিল তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সাদাসিধে জীবনের এক অপূর্ব মিলনস্থল। বর্ষাকালে পদ্ম ফুল ফোটা অবস্থায় পুকুরটি অপূর্ব লাগে, যা দেখে আপনার মন ভরে যাবে।
লিচু তলা
হুমায়ূন আহমেদের সমাধিটি এই লিচু গাছের নিচে অবস্থিত, যেখানে তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত। এই জায়গাটি শান্তি ও শ্রদ্ধার প্রতীক হয়ে আছে, যা দেখতে এখানে পর্যটকরা আসেন। নিজ হাতে গড়ে তোলা এই লিচু তলায় তিনি সময় ব্যয় করতেন পরিবেশ উপভোগ করার মাধ্যমে। এখানে সময় কাটালে আপনার ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে।
মৎস্যকন্যা ভাস্কর্য
মৎস্যকন্যার প্রতিমূর্তি বিশাল একটি পাথরে খোদিত, যা জলাশয়ের পাশেই স্থাপন করা হয়েছে। এটি দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনই এতে প্রকৃতির শৈল্পিক সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। এই ভাষ্কর্যের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে যে প্রতিকৃতিটি যেন ফুল তুলছে পুকুর থেকে- যা সুন্দর নির্মানগুলোর মধ্যে একটি।
- নীলফামারির নীলসাগর ভ্রমণ: প্রকৃতির কোলে হারিয়ে যাওয়ার সেরা জায়গা। 🌊
- হাকালুকি হাওর ভ্রমণ প্ল্যান: যাবার উপায়, খাবার আর থাকার ব্যবস্থা।
- রিসাং ঝর্ণা ভ্রমণ – ব্যস্ত জীবনকে উল্লাসীত করে তুলতে এখনি ভ্রমণ গাইডটি পড়ে ঘুরে আসুন!
- ছোট সোনা মসজিদ যা রাজশাহীর ঐতিহ্য, সেখানে কিভাবে যাবেন, কি খাবেন সবকিছুই এই ভ্রমণ গাইডে!
- শাপলা গ্রাম ভ্রমণ যেন এক গল্প! ভাসমান জলে শাপলার মেলা এমন জায়গা সম্পর্কে বাকিটা জানতে পড়ুন গাইডটি।
নুহাশ পল্লীতে ঢাকা থেকে কিভাবে যাবেন তার একাধিক বর্ণনা
প্রাইভেট কারে যাতায়াত
ঢাকা থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা হয়ে পিরুজালী গ্রামে সরাসরি পৌঁছে যাওয়া যায়। গুগল ম্যাপে “নুহাশ পল্লী” সার্চ করলে খুব সহজেই পথ নির্দেশনা পাওয়া যাবে। শহর ছেড়ে একটু বাইরে এলে রাস্তার ধারে সবুজ গাছের সারি দেখতে পাবেন, যা এক মায়াবী অনুভূতি দেয়। এটি পরিবারের সাথে আরামদায়ক ভ্রমণের অন্যতম উপায়।
বাসে ভ্রমণ
ঢাকার মহাখালী বা উত্তরা থেকে গাজীপুরগামী বাসে ওঠা যায়। মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত কয়েকটি বাস সার্ভিস চলে, যেমন গাজীপুর পরিবহন, টাঙ্গাইল বাস সার্ভিস। চৌরাস্তা থেকে নেমে পিরুজালী গ্রাম পর্যন্ত যেতে হবে। চৌরাস্তা থেকে পিরুজালী যাওয়ার জন্য সিএনজি বা স্থানীয় যানবাহন পাওয়া যায়।
ট্রেনে যাত্রা
আর একটু রোমাঞ্চকর কিছু চাইলে কমলাপুর বা বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে জয়দেবপুর বা টঙ্গী পর্যন্ত ট্রেনে যেতে পারেন। ভাড়া ১০০-৩০০ টাকা, এবং সময় লাগে ৩-৪ ঘণ্টা। আপনার জন্য নিকটবর্তী যেই স্টেশন হয় সেখান থেকে উঠতে পারেন। ট্রেন থেকে নামার পর লোকাল বাস বা সিএনজিতে করে নুহাশ পল্লী পর্যন্ত যাওয়া যায়।
নুহাশ পল্লীতে গিয়ে কি কি খাবেন ও দাম সম্পর্কে আইডিয়া
নুহাশ পল্লী ভ্রমণ করতে গেলে আপনি খাবারের অপশন খুবই সীমিত পাবেন, তাই অনেক ভ্রমণকারী গাজীপুর চৌরাস্তা বা হোতাপাড়া এলাকা থেকে খাবার নিয়ে আসতে পরামর্শ দেন। তবে পল্লীর অভ্যন্তরে প্রাথমিকভাবে দুপুরের খাবার মিলতে পারে, যার জন্য জনপ্রতি খরচ হতে পারে ২০০-২৫০ টাকা। এই খাবারের মান সাধারণ হলেও একটু ব্যয়সাপেক্ষ, তাই অনেকেই বাইরে থেকে খাবার নিয়ে যেতে পছন্দ করেন।
বলে রাখা ভালো, নুহাশ পল্লীর এলাকা ভিত্তিক কোনো বিশেষ খাবারের অপশন নেই, স্থানীয়রা অত্যন্ত সাধারণ বাঙালীভোজ করে থাকেন, তাই আপনি যদি সেখানে গিয়ে কিছু খেতে চান তাহলে আপনাকে তাদের মত সাধারণ খাবারকে উপভোগ করতে হবে।
সাধারণত খাবারের জন্য কয়েকটি জনপ্রিয় বিকল্প রয়েছে। এখানে কাছাকাছি কিছু ভালো রেস্টুরেন্ট আছে, যেমন “রয়্যাল কিচেন” যেখানে দেশি খাবার পাওয়া যায়, আর দামও তুলনামূলকভাবে সহনীয় (প্রায় ২০০-৩০০ টাকা)। “হোটেল নিরিবিলি” তে জনপ্রিয় স্থানীয় খাবার পরিবেশিত হয়, যেখানে মেনুতে স্থানীয় খাবারের স্বাদ থাকে। এছাড়াও “সেভার রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফে” ও “টেসটি স্টোরি“– এগুলো কম বাজেটে চাইনিজ ও ইন্ডিয়ান খাবার পরিবেশন করে।
নুহাশ পল্লী ভ্রমণে গিয়ে কোথায় থাকবেন, খরচ কেমন, হোটেল এর গুগল ম্যাপ লিঙ্ক
হোটেলের নাম | কন্টাক্ট নাম্বার | গুগল ম্যাপের লিংক |
রুপসা রিসোর্ট | 01789471212 | https://maps.app.goo.gl/qCyw8hAr4UjqRdTp8 |
নাহিদ রিসোর্ট | 01640527070 | https://maps.app.goo.gl/LjUP6BAo5fDMQf2Z9 |
পুষ্পদাম রিসোর্ট | 01750002769 | https://maps.app.goo.gl/ryYMkUxN3evuVf659 |
নুহাশ পল্লীর স্থানীয় ঐতিহ্য, উৎসব, এবং রীতিনীতির তথ্য
এটি শুধু একটি দর্শনীয় স্থান নয়, এটি একেকটি ছোট ইতিহাসের সাক্ষী। এই পল্লীর আশেপাশে গ্রামের জীবনযাত্রা, ঐতিহ্য, এবং রীতিনীতি যেনো এক বিশাল গল্পের মতো বয়ে চলে। এখানে আসলেই আপনি সময়ের এক অন্য প্রান্তে চলে যাবেন। স্থানীয়রা এখানে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ, সাদাসিধে জীবনযাপন করেন। তাদের জীবনধারা, ভাষা, এবং সংস্কৃতি সবই সেই নস্টালজিক প্রাচীন ঐতিহ্যকে বয়ে নিয়ে চলে।
এখানে বসন্ত উৎসব বা পহেলা বৈশাখের মতো ছোট ছোট আয়োজনও হয়, যেখানে গ্রামবাসী একসাথে এসে নিজেদের শখের গান গায়, মেলাতে বসে। ছোট ছোট রীতিনীতির মধ্যে, যেমন নতুন বছরের শুরুতে শুভেচ্ছা বিনিময়, একে অপরকে মিষ্টি খাওয়ানো, এসব উৎসব যেনো আমাদের দেশের জীবনের একটি প্রাকৃতিক অংশ। এসব দেখে আপনি খুব সহজেই অনুভব করবেন, এখানে আসলে বেঁচে থাকার আনন্দ কোথায়!
এছাড়া এখানকার রীতিনীতি হলো, এখানে আসলে সব কিছু প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘটে। কেউ যদি নতুন বছর উদযাপন করতে চায়, সে চায়ের কাপ হাতে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে শুভেচ্ছা পাঠাবে। গ্রামের ঐতিহ্যিক কুটির শিল্পও এখানকার রীতির মধ্যে বড় একটি অংশ। লোকেরা পিঠা, মুড়ি, বেগুনি এসব খাবারের মাধ্যমে তাদের সংস্কৃতিকে সম্মান জানায়।
কোন সময় নুহাশ পল্লী ভ্রমণ করতে যাওয়া উচিত এবং কোন সময়ে যাওয়া উচিত না
যে সময় যাওয়া যাবে
শীতকাল (নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি):
শীতের হাওয়া, ঠাণ্ডা দুপুর, এবং সবুজ প্রকৃতি– এক কথায় বেহালার মতো পরিবেশ! নুহাশ পল্লী তখন সত্যিই এক অন্য জায়গা হয়ে ওঠে। এই সময়ে আপনি হালকা শীতল আবহাওয়ায় প্রকৃতির সাথে একাকার হয়ে যাবেন।
বসন্তকাল (মার্চ থেকে মে):
বসন্তে ফুল ফোটে, পাখিরা গান গায় – এই সময়টা পল্লীতে আসার জন্য আদর্শ। চারপাশে নানা রঙের ফুল আর সুমিষ্ট বায়ু আপনি আপনার মনকে শান্তি দেয়ার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।
ঈদের ছুটিতে:
বিশেষ উৎসবের দিনগুলোতে গ্রাম্য জীবন একটু বেশিই প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। পল্লীতে একটি আলাদা উৎসবের আমেজ থাকে। ঈদের দিনগুলোতে, এখানে একটি আবহ থাকে যা অন্য কোনো সময় পাওয়া যায় না।
যে সময় ভুল করেও যাওয়া উচিত না
বর্ষাকালে (জুন থেকে অক্টোবর):
এই সময় এখানে বৃষ্টির পানি আর কাদাজল হবে, আর আপনি ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে বিপাকে পড়বেন। প্রকৃতির এই রূপ কখনোই সুন্দর মনে হবে না, বরং আপনার পুরো অভিজ্ঞতাটাই মাটি হয়ে যেতে পারে।
গরমের দিনে (মে থেকে জুন):
গরমে পল্লীতে ঘুরে বেড়ানো কষ্টকর হতে পারে। গরম বাতাস, রোদে পুড়ে যাওয়া – এসব কখনোই আপনাকে সুখী করতে পারবে না। এখানে প্রকৃতির চমৎকারতা তখন আর অনুভূত হবে না।
নুহাশ পল্লী ভ্রমণে গিয়ে মেডিকেল ইমারজেন্সি হলে কোথায় যাবেন গুগল ম্যাপের লিঙ্ক সহ কন্টাক্ট নাম্বার
হাসপাতালের নাম | কন্টাক্ট নাম্বার | গুগল ম্যাপের লিংক |
সন্তুষ জেনারেল হসপিটাল | 01903056318 | https://maps.app.goo.gl/tPmiT1QX2LmMowz96 |
অ্যাল হেরা হসপিটাল | 01711601006 | https://maps.app.goo.gl/6mMV66zHYZjjk2298 |
কাজী হসপিটাল কমপ্লেক্স | 01741266083 | https://maps.app.goo.gl/eRPwNmTAPHi6DVds7 |
নুহাশ পল্লী ট্র্যাভেল করতে হলে বা ট্যুর প্লান করতে হলে কি কি বিষয়ে সতর্ক থাকা লাগবে
১. আবহাওয়ার খবর জানুন:
ভ্রমণের আগে আবহাওয়া দেখে নেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বর্ষাকালে নুহাশ পল্লী যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে মনে রাখবেন, রাস্তাঘাট কাদামাটিতে পরিপূর্ণ থাকতে পারে। খারাপ আবহাওয়া ভ্রমণের আনন্দকে অনেকটাই মাটি করে দেয়। শীতকাল বা বসন্তকাল হলে স্বস্তিতে থাকবেন।
২. খাবারের সতর্কতা:
নুহাশ পল্লী ভ্রমণ করতে গেলে দেখবেন তার আশেপাশে খাবারের জায়গা খুবই সীমিত। তবে স্থানীয় খাবার খাওয়ার মজা আলাদা, কিন্তু স্ট্রিট ফুড খাওয়ার আগে একটু সাবধান থাকা ভালো। হাইজিন ঠিক না থাকলে পেটের সমস্যা হতে পারে। তাই পরিচ্ছন্ন রেস্টুরেন্ট বা হোটেল থেকে খাবার নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
৩. যোগাযোগের মাধ্যম নিশ্চিত করুন:
গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে আপনার পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করে নিন। গাড়ি ভাড়া করা, কিংবা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নিয়ে যাওয়ার সময় কোথায় আসবেন, কোথায় নামবেন এসব নিশ্চিত না থাকলে খানিকটা অস্বস্তি হতে পারে। গাড়ির বা বাসের ঠিকানা এবং সময়সূচী চেক করে নেবেন।
৪. ভ্রমণের বাজেট রাখুন:
আপনার বাজেটটা সঠিকভাবে পরিকল্পনা করে রাখা জরুরি। খরচের উপর নজর রাখুন, যেনো কোনো অপ্রত্যাশিত খরচ আপনার ভ্রমণের আনন্দ কেড়ে না নেয়। অনেকেই জানেন না, ছোট ছোট এক্সট্রা খরচ গুণতে গুণতে ভ্রমণ শেষ হওয়ার আগে পুরো বাজেট শেষ হয়ে যায়!
৫. সুরক্ষার দিকেও নজর দিন:
যেহেতু এটি একটি প্রাকৃতিক স্থল, তাই ট্রেইল বা অন্য কোনো জায়গায় হাঁটার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন। পায়ে হালকা স্যান্ডেল বা চপ্পল পরবেন না, ভালো জুতো পরার চেষ্টা করুন যাতে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।
৬. স্বাস্থ্যসেবা এবং জরুরি নম্বর:
আপনার সাথে যদি কোনো স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা থাকে, তবে নুহাশ পল্লীর আশেপাশে নিকটস্থ হাসপাতাল বা মেডিকেল সেন্টার কোথায় রয়েছে, তা আগে থেকে জানুন। আপনি যদি কোনো মেডিকেল সহায়তা চান, তবে প্রয়োজনীয় ফোন নাম্বার ও ঠিকানা তালিকাভুক্ত করে রাখুন।
৭. সঠিক সময়ের নির্বাচন:
নুহাশ পল্লী ভ্রমণ করার জন্য ভালো সময় হলো শীতকাল বা বসন্তকাল। এই সময়টায় প্রকৃতি এবং আবহাওয়া দুটোই উপভোগ্য থাকে। গরমে বা বর্ষায় একটু সমস্যা হতে পারে, তাই সময়টা ঠিকঠাক দেখে নেবেন।
নুহাশ পল্লী নিয়ে এখন পর্যন্ত মানুষের রিভিউ রেটিং
এখন পর্যন্ত এই জায়গাটি নিয়ে অর্ধেকের বেশি মানুষ ৪ স্টার রেটিং দিয়েছেন, যা সত্যি খুব ভালো এবং পজিটিভ। মানুষজন এখানে একদিনের ভ্রমণে বেশি যায় এবং তারা মূলত এই রেটিংটা দিয়েছে প্রথম দর্শনের পর। একেকজনের কাছে জায়গাটি একেকরকম লাগতে পারে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই । তবে অবশ্যই আপনার নিজের অভিজ্ঞতা অর্জন করা উচিত সেখানে গিয়ে, হয়ত আপনার আরও বেশি ভালো লাগতে পারে।
নুহাশ পল্লী ভ্রমণের জন্য স্পেশাল টিপসগুলো?
প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্র এবং কাগজপত্র সাথে রাখুন:
আপনার পরিচয়পত্র, আইডি কার্ড বা কোনো জরুরি কাগজপত্র সঙ্গে রাখুন। বিশেষ করে যদি আপনার গাড়ি বা ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে ভ্রমণ করতে হয়, তাহলে গাড়ির কাগজপত্রও রাখুন।
টাকাপয়সা এবং খুচরা টাকা সাথে রাখুন:
পল্লীতে ব্যাংক বা এটিএমের সুযোগ সীমিত হতে পারে, তাই নগদ টাকা বা খুচরা টাকা সাথে রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, মজাদার খাবার বা ছোটখাটো কেনাকাটার জন্য খুচরা টাকা রাখা ভালো।
নিজের শরীরের যত্ন নিন:
দিনের বেলায় বেশি সময় বাইরে থাকতে হলে সানস্ক্রিন, সানগ্লাস, এবং হ্যাট রাখুন। তাপমাত্রা অনেকটা বাড়তে পারে, এবং সুরক্ষিত থাকাটা অবশ্যই দরকার।
বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবার রাখুন:
দীর্ঘ ভ্রমণে হাইড্রেটেড থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাথে কিছু শুকনো খাবার, যেমন বাদাম বা চকলেট রাখুন। যদি কোথাও পানি না পেয়ে থাকেন, তাহলে নিজের পানি সঙ্গে রাখুন।
ইলেকট্রনিক ডিভাইস চার্জ রাখতে পাওয়ার ব্যাংক নিন:
স্মার্টফোন বা ক্যামেরার চার্জ শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়তে পারেন। তাই পোর্টেবল পাওয়ার ব্যাংক সঙ্গে রাখুন, যাতে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে ডিভাইসটি চার্জ করতে পারেন।
মশার প্রতিরোধক ও প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম নিন:
নুহাশ পল্লী এলাকায় মশা থাকতে পারে, তাই মশার প্রতিরোধক ক্রিম বা স্প্রে নিন। এছাড়া, ছোটখাটো চোটপাটের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জামও সঙ্গে রাখতে ভুলবেন না।
রিস্ক ম্যানেজমেন্ট:
নুহাশ পল্লী ভ্রমণ করতে গিয়ে রাস্তাঘাট মাঝে মাঝে কাদামাটির হতে পারে। তাই ভালো জুতো পরা উচিত, বিশেষ করে যদি আপনি ট্রেইল বা হাঁটার পরিকল্পনা করেন। যেকোনো দুর্ঘটনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে সাবধানে চলুন।
লোকাল ট্র্যাডিশন বুঝে চলুন:
স্থানীয় সংস্কৃতি ও রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব রাখা উচিত। গন্তব্যে যাওয়ার আগে জায়গাটির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে একটু জানুন, যাতে আপনাকে স্থানীয় মানুষদের সাথে ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলতে সুবিধা হয়।
বেশি সময় নিয়ে ভ্রমণ করুন:
নুহাশ পল্লী এমন একটি জায়গা যেখানে আপনি দিনভর ঘুরে বেড়াতে পারবেন, তাই দ্রুত চলতে গিয়ে সময় নষ্ট না করে, ধীরে ধীরে স্থানটি উপভোগ করুন। স্বাভাবিকভাবে এটি একটি প্রশান্তিমূলক স্থান, তাই কেবল ভ্রমণই নয়, সময় কাটানোর জন্যও আদর্শ।
নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন:
বিশেষ করে যদি একা ভ্রমণ করেন, তখন ভ্রমণের সময় নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। অজানা স্থানে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করুন, এবং মোবাইল ফোনে লোকেশন শেয়ার করে রাখুন।
ব্যাগপ্যাকের পরিপূর্ণতা:
প্রয়োজনীয় সব কিছু যেমন: সানস্ক্রিন, মোবাইল ফোন, পানির বোতল, স্ন্যাকস, মিনি ফার্স্ট এইড কিট এবং কিছু কাপড় (যদি আবহাওয়া বদলে যায়) ব্যাগে রাখুন।
নুহাশ পল্লী থেকে ফেরার পথে কি কি করতে পারেন?
নুহাশ পল্লী থেকে ফেরার পথে অনেক কিছুই করা যেতে পারে, যা আপনার ভ্রমণকে আরও রঙিন করে তুলবে। যখন আপনি ফিরছেন, একবার চিন্তা করুন, পথে কোথায় থেমে একটু সময় কাটাবেন। প্রথমে, পল্লীর কাছাকাছি ছোটো ছোটো গ্রাম ঘুরে দেখতে পারেন। গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা, তাঁদের হাসিখুশি, আর কৃষি কাজের সাথে পরিচিত হওয়া একটি নতুন অভিজ্ঞতা হতে পারে।
এরপর, যদি সময় এবং সুযোগ হয়, তাহলে স্থানীয় খাবারের দোকানগুলোতে থেমে কিছু খাবার উপভোগ করুন। স্থানীয় সিঙ্গারা, জিলাপি, কিংবা চা আপনাকে মুগ্ধ করবে। এভাবে সেখানকার স্বাদ ও সংস্কৃতি অনুভব করতে পারবেন।
ফিরতি পথে কিছু ছবিও তুলুন, যেনো সেই সুন্দর মুহূর্তগুলো স্মৃতিতে চিরস্থায়ী হয়ে থাকে। আপনার স্মার্টফোন বা ক্যামেরা নিয়ে ছবি তুলতে ভুলবেন না।
আরেকটি বিষয় হলো, আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতাগুলো বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন। মনে রাখবেন, যে স্থানগুলোতে আপনি গেছেন, সেগুলোর গল্প শোনানোও এক প্রকার আনন্দ।
সবশেষে, পল্লী থেকে ফেরার পথে কিছু সময় নিয়ে দিন গড়িয়ে দিন নিয়ে ভাবুন, কেমন লাগলো, কি নতুন শিখলেন—এগুলোই আপনার ভ্রমণকে পুরোপুরি পূর্ণতা দেবে। মনে রাখবেন, প্রতিটি সফরই নতুন কিছু শেখার এবং অভিজ্ঞতার।
নুহাশ পল্লী ভ্রমণকে ঘিরে কিছু কমন প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্নঃ নুহাশ পল্লী কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ নুহাশ পল্লী বাংলাদেশের নরসিংদী জেলার শিবপুরে অবস্থিত।
প্রশ্নঃ নুহাশ পল্লী যাওয়ার সেরা সময় কখন?
উত্তরঃ অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত আবহাওয়া সবচেয়ে ভালো থাকে, তাই এই সময় ভ্রমণের জন্য আদর্শ।
প্রশ্নঃ নুহাশ পল্লী ভ্রমণ করতে চাইলে প্রবেশমূল্য কত?
উত্তরঃ নুহাশ পল্লীতে প্রবেশের জন্য কিছু নির্ধারিত টিকিট মূল্য রয়েছে, যা মৌসুমি বা বিশেষ অনুষ্ঠানের ওপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হতে পারে।
প্রশ্নঃ এখানে কি ভ্রমণকারীদের জন্য বাথরুমের ব্যবস্থা আছে?
উত্তরঃ হ্যাঁ নুহাশ পল্লীতে ভ্রমণকারীদের জন্য পরিচ্ছন্ন বাথরুমের ব্যবস্থা করা আছে।
প্রশ্নঃ এখানে কি রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা আছে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, নুহাশ পল্লীতে থাকার জন্য কিছু রিসোর্ট ও হোটেল রয়েছে, যেখানে আপনি আরামদায়ক রাত কাটাতে পারেন।
প্রশ্নঃ নুহাশ পল্লীতে যাওয়ার জন্য কোন পরিবহন ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ ঢাকা থেকে বাস, মাইক্রোবাস কিংবা ব্যক্তিগত গাড়িতে সহজে যাওয়া যায়।
প্রশ্নঃ নুহাশ পল্লীতে কোন ধরনের আকর্ষণীয় জায়গা আছে?
উত্তরঃ এখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ফুলের বাগান, ও ছবির মতো দেখতে লেক রয়েছে।
প্রশ্নঃ নুহাশ পল্লী থেকে ফেরার পথে কি করতে পারি?
উত্তরঃ ফেরার পথে স্থানীয় গ্রাম ঘুরে দেখতে পারেন বা স্থানীয় খাবার উপভোগ করতে পারেন।
প্রশ্নঃ এখানে কি ক্যাম্পিংয়ের সুযোগ আছে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় ক্যাম্পিং করার সুবিধা রয়েছে।
প্রশ্নঃ নুহাশ পল্লী কি শিশুদের জন্য উপযুক্ত?
উত্তরঃ হ্যাঁ, এখানে শিশুদের জন্য নিরাপদ এবং শিক্ষামূলক পরিবেশ রয়েছে।
প্রশ্নঃ স্থানীয় খাবার কি ধরনের পাওয়া যায়?
উত্তরঃ স্থানীয় খাবারে সিঙ্গারা, পাঁপড়, ও ভাতদুরের মতো জনপ্রিয় খাবার পাওয়া যায়।
প্রশ্নঃ এখানে কি পর্যটকদের জন্য কোন বিশেষ অনুষ্ঠান হয়?
উত্তরঃ সময়ভেদে এখানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশ্নঃ নুহাশ পল্লীর ইতিহাস কি?
উত্তরঃ নুহাশ পল্লী মূলত লেখক হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টির ফলস্বরূপ, যেখানে তিনি তাঁর সাহিত্যিক জীবন কাটিয়েছেন।
প্রশ্নঃ নুহাশ পল্লীতে কীভাবে নিরাপদে ভ্রমণ করব?
উত্তরঃ ভ্রমণের আগে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিশ্চিত করে বের হওয়া এবং স্থানীয় নির্দেশনা মেনে চলা।
প্রশ্নঃ এখানে কি সুপারি গাছের বাগান আছে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, নুহাশ পল্লীতে অনেক সুপারি গাছ রয়েছে, যা সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে।
প্রশ্নঃ এখানে বিশেষ কেনাকাটা করার সুযোগ আছে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, স্থানীয় হস্তশিল্প এবং খাদ্যদ্রব্য কেনার সুযোগ রয়েছে।
প্রশ্নঃ ভ্রমণের আগে কোন প্রস্তুতি নেওয়া উচিত?
উত্তরঃ আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে জামাকাপড় নির্বাচন করা, এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে রাখা।
প্রশ্নঃ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ কেমন?
উত্তরঃ এখানে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলা এবং তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার সুযোগ অনেক।
প্রশ্নঃ নুহাশ পল্লী ভ্রমণ করতে চাইছেন, পরিচ্ছন্নতা কেমন তা জানতে চান?
উত্তরঃ সাধারণত, নুহাশ পল্লী পরিচ্ছন্ন থাকে, তবে পর্যটকদেরও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে সচেতন থাকতে হবে।